ঝগড়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘ ঝগড়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
ঝগড়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পৃথিবীতে সফল ব্যক্তিরা সফল হওয়ার একটিমাত্র কারণ তারা পৃথিবীতে আগে জ্ঞান অর্জন করে আর সেই জ্ঞানগুলো পূর্ণতা দেয় মহান মনীষীরা এখন আমরা জেনে নেব সেই মহান মনীষীদের উক্তিগুলো, জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘ ঝগড়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ সম্পর্কে।
ঝগড়া বা কলহ নিয়ে ইসলামে অনেক উক্তি এবং শিক্ষা রয়েছে। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য উক্তি ও শিক্ষার বিষয় তুলে ধরা হলো:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে ব্যক্তি, যে তার পরিবারবর্গের প্রতি সর্বাধিক ভালো আচরণ করে।” (সুনানে আবু দাউদ)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“আর যদি কোনো দুই ব্যক্তি ঈমানদার মিলে যুদ্ধ করে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও।” (হুজরাত: 9)
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন:
“এক মুসলিম তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য ত্রুটি খুঁজে বের করা উচিত নয়, বরং তাকে ক্ষমা করা উচিত।” (মুসনাদ আহমদ)
একটি প্রবাদ:
“ঝগড়া কখনো ভালো ফল দেয় না, শান্তি ও সমঝোতা সর্বদা উত্তম।”
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি দুই মুসলিমের মধ্যে শল্যক্রিয়া করে, সে ব্যক্তি আল্লাহর পথে রয়েছে।”
(বুখারি)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“আর যদি দুই মুসলিম একে অপরের মধ্যে যুদ্ধ করে, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও।”
(হুজরাত: 9)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সে, যে তার পরিবারের প্রতি ভালো আচরণ করে।”
(সুনানে আবু দাউদ)
রাসূল (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কলহ ও ঝগড়া থেকে দূরে থাকে, তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে।”
(সুনানে আবু দাউদ)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“এবং তোমাদের মধ্যে পরস্পর সহযোগিতা করো, পাপ ও শত্রুতার প্রতি নয়।”
(মায়িদাহ: 2)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কথা বলার সময় ধৈর্য ধারণ করে, সে সর্বদা সফল।”
(সুনানে আবু দাউদ)
রাসূল (সা.) বলেছেন:
“ঝগড়া করা আল্লাহকে বিরক্ত করে, তাই তোমরা একে অপরের সাথে ভালো আচরণ করো।”
(মুসনাদ আহমদ)
হযরত আলী (রা.) বলেছেন:
“শান্তির মাধ্যমে সর্বদা সমঝোতা করতে হবে, কারণ ঝগড়া কখনো ভালো ফল দেয় না।”
আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
“যারা মুমিনদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে, তারা আল্লাহর রহমত থেকে দূরে।”
(আল-বাকারা: 193)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“ঝগড়া এবং কলহের কারণে ঈমান দুর্বল হয়ে পড়ে।”
(বুখারি)
“ঝগড়া কখনোই সমস্যার সমাধান নয়; এটি কেবল পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তোলে।”
“শান্তি বজায় রাখা সবসময় ঝগড়ার থেকে ভালো।”
“ঝগড়া করার চেয়ে একজনকে মাফ করা অনেক বড় কাজ।”
“ঝগড়ার সময় মনের শান্তি হারিয়ে যায়।”
“একটি সুন্দর সম্পর্কের জন্য ধৈর্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য।”
“ঝগড়া করতে গেলে প্রথমে ভাবুন, আপনি কি সত্যিই আপনার বন্ধু বা প্রিয়জনকে হারাতে চান?”
“যখন কথা কম হয়, তখন ঝগড়াও কম হয়।”
“অসন্তোষ প্রকাশের সময় যদি আমরা শালীনতা বজায় রাখতে পারি, তবে ঝগড়া এড়ানো সম্ভব।”
“ঝগড়া কেবল সময়ের অপচয়, শান্তি সবকিছুর চেয়ে মূল্যবান।”
“ঝগড়া হয় তখন, যখন আমরা আমাদের মনোভাবকে অন্যদের সামনে প্রকাশ করি।”
ax
“ঝগড়া কেবল সময়ের অপচয়, শান্তি সবকিছুর চেয়ে মূল্যবান।”
“শান্তি বজায় রাখার চেয়ে ঝগড়া করা সহজ, কিন্তু ফলাফল অনেক খারাপ।”
“ঝগড়া হল সেই অস্ত্র, যা বন্ধুত্বকে ধ্বংস করে দেয়।”
“ঝগড়ার সময়, আমাদের কথা মনে রাখতে হবে, শব্দগুলোর ক্ষত স্থায়ী হতে পারে।”
“ঝগড়া করে যতটা না জিতবেন, তার চেয়ে বেশি হারাবেন।”
“একটি সুন্দর সম্পর্কের জন্য ধৈর্য এবং সহনশীলতা অপরিহার্য।”
“যখন ঝগড়া শুরু হয়, তখন সবার মনের শান্তি নষ্ট হয়।”
“ঝগড়া কোনো সমস্যার সমাধান নয়; এটি কেবল পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তোলে।”
“যদি কাউকে মাফ করতে পারি, তবে ঝগড়া থেকেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।”
“ঝগড়ার সময়, আমাদের নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, কারণ কথা কখনোই ফেরানো যায় না।”
এগুলো ঝগড়ার ক্ষতিকর প্রভাব এবং শান্তির গুরুত্বকে তুলে ধরে।
উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আমাদের আরো প্রিয় উক্তিগুলো জেনে নিতে পারবো, আমাদের সমাজ বাস্তবতার মধ্য থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে মহান মনীষীদের এ বাণীগুলো আমাদের জীবনে এক প্রদীপ তৈরি করতে সাহায্য করবে ।
সর্বোপরি আমরা একথা বলতে পারি, মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেই সুপ্ত জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য মহান মনীষীদের মহান বাণী গুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোপরি চেষ্টা করে যাব, তাহলে আমাদের জীবনে সময় গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব। এই ‘ ঝগড়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ জীবনকে নতুনভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে ।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ ঝগড়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।