চাঁদের পাহাড় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য ‘বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
চাঁদের পাহাড় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুক রিভিউ
চাঁদের পাহাড় কোন ইংরেজি উপন্যাসের অনুবাদ নয়। এটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা রোমাঞ্চকর উপন্যাস।
চাঁদের পাহাড় এক বাঙালি ছেলে শঙ্করের গল্প। সে বুদ্ধিমান, সাহসী ও আত্নপ্রত্যয়ী। তার সবচেয়ে বেশি পছন্দ ভূগোলের বই পড়া ও বিভিন্ন ধরনের ম্যাপ ঘাঁটাঘাঁটি করা। তার রয়েছে অজানাকে জানার, পৃথিবীর দূর দেশের শত দুঃসাহসিক কাজের মাঝে যাওয়ার দুর্দমনীয় নেশা।
পড়াশোনা শেষ করে অন্যান্যদের মতো চাকরি করার ইচ্ছা তার ছিলো না। কিন্তু তার বাবার অসুখ, দরিদ্র সংসার। নিতান্তই নিরুপায় হয়ে সংসারের হাল ধরতে এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় আফ্রিকায় আসে এবং উগান্ডা রেলওেয়েতে চাকরি শুরু করে। সেখানে খাবার পানির অভাব, মানুষ খেকো সিংহ ও ব্লাক মাম্বা সাপের অতর্কিত আক্রমণের ভয়ে ভীত থাকতে হয় সবসময়।

এখানেই একদিন তার দেখা হয় পর্তুগিজ অভিযাত্রিক ও স্বর্ণসন্ধানী ডিয়েগো আলভারেজ এর সাথে। আলভারেজ তাকে শোনায় তার জীবনের অদ্ভুত এক ঘটনা। সে এবং তার সঙ্গী জিম কার্টার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরক খনির সন্ধান পেয়েছিল। কিন্তু সেই খনি পাহারা দেয় অদ্ভুত এক ভয়ংকর জন্তু- বুনিপ। বুনিপ জিমকে মেরে ফেলে এবং আলভারেজ কোনোমতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসে।
চাঁদের পাহাড় বুক রিভিউ
শঙ্কর এই গল্প শোনার পর সেই চাঁদের পাহাড়ের অভিমুখে রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, খুঁজে বের করতে চায় হিরার খনি। শঙ্করের এই রোমাঞ্চকর অভিযান নিয়েই রচিত এই উপন্যাস। এখানে লেখক আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা করেছেন খুব সুন্দরভাবে। বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত, ভয়ংকর জীবজন্তু, মরুভুমিতে বেঁচে থাকার লড়াই আপনার মনকে শিহরিত করবে। উপন্যাসটির ভূমিকায় লেখক একে তার কল্পনাপ্রসূত সৃষ্টি বলে আখ্যায়িত করলেও এর শেষটা আপনার মনকে নাড়া দেবে।
যে লাইনটা এখনো আমার মনে গেঁথে আছে সেটা হলো- ছাদের আলসের দিব্যি চৌরস একখানা টালি হয়ে অনড় অবস্থায় সুখে-স্বচ্ছন্দে থাকার চেয়ে স্ফটিক প্রস্তর হয়ে ভেঙে যাওয়াও ভালো, ভেঙে যাওয়াও ভালো, ভেঙে যাওয়াও ভালো।
( কৃতজ্ঞ =বই পর্যালোচনা, আয়েশা আক্তার শ্রাবণী ,বই- চাঁদের পাহাড়,লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।