অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘ অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পৃথিবীতে সফল ব্যক্তিরা সফল হওয়ার একটিমাত্র কারণ তারা পৃথিবীতে আগে জ্ঞান অর্জন করে আর সেই জ্ঞানগুলো পূর্ণতা দেয় মহান মনীষীরা এখন আমরা জেনে নেব সেই মহান মনীষীদের উক্তিগুলো, জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘ অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ সম্পর্কে।
ইসলামে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু শক্তিশালী উক্তি রয়েছে। এখানে কিছু ইসলামিক উক্তি এবং কুরআন ও হাদিসের অংশ উল্লেখ করা হলো যা অন্যায়ের বিপরীতে কথা বলে:
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো:
“তোমরা ন্যায়ের আদেশ কর এবং অন্যায় হতে বিরত রাখ।”
— (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অন্যায়কারীদের অপছন্দ করেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারী বা অন্যায়কারীদের ভালোবাসেন না।”
— (সুরা আল-মায়েদা, আয়াত ৪৫)
অন্যায় প্রতিহত করার বিষয়ে:
“যে ব্যক্তি অন্যায় দেখে, সে যেন তা হাতে প্রতিরোধ করে। যদি সে তা করতে না পারে, তাহলে অন্তত তার জিহ্বা দিয়ে প্রতিবাদ করে। যদি তাও না পারে, তবে অন্তত অন্তরে ঘৃণা পোষণ করে, আর এটি হচ্ছে ঈমানের দুর্বলতম স্তর।”
— (সহিহ মুসলিম)
অন্যায়ের শাস্তি:
“যে ব্যক্তি অপরকে কষ্ট দেয় বা অন্যায় করে, সে কিয়ামতের দিন তার অন্যায়ের প্রতিদান পাবে।”
— (সহিহ বুখারী)
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব:
“আল্লাহ ন্যায়বিচার ও উত্তম চরিত্রের আদেশ দেন এবং তিনি অন্যায়, অসঙ্গতি ও অবাধ্যতা থেকে নিষেধ করেন।”
— (সুরা নাহল, আয়াত ৯০)
ইসলামিক উক্তি
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা:
“তোমরা মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার করো এবং অন্যায় হতে বিরত থাকো, আল্লাহ অন্যায়কারীদের ভালোবাসেন না।”
— (সুরা নিসা, আয়াত ৫৮)
অন্যায়কারীদের প্রতি সতর্কবাণী:
“নিশ্চয়ই, যারা অন্যায় করে, তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”
— (সুরা আশ-শুরা, আয়াত ২১)
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ:
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অন্যায় দেখবে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে। যদি সে তা না পারে, তবে জিহ্বা দিয়ে প্রতিবাদ করুক, আর যদি সেটাও না পারে, তবে অন্তত অন্তরে ঘৃণা পোষণ করুক। এটি ঈমানের দুর্বলতম স্তর।”
— (সহিহ মুসলিম)
অন্যায়কারীদের ক্ষতি:
“নিশ্চয়ই, আল্লাহ অত্যাচারীদের সফল করেন না।”
— (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫২)
অন্যায় থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা:
“তোমরা অন্যায় ও পাপ কাজে সহায়ক হইও না। আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।”
— (সুরা মায়েদা, আয়াত ২)
অন্যায়ের জন্য শাস্তি:
“যে ব্যক্তি অপরকে অন্যায় করে, কিয়ামতের দিন তার কর্মের ফল ভোগ করবে।”
— (সহিহ বুখারী)
ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য:
“আল্লাহ ন্যায় প্রতিষ্ঠার আদেশ দেন এবং অন্যায় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেন।”
— (সুরা নাহল, আয়াত ৯০)
অন্যায়ের শাস্তি অবধারিত:
“অন্যায়কারীদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত কঠোর শাস্তি।”
— (সুরা আল-মুমিন, আয়াত ৮৫)
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আদেশ:
“আল্লাহ তোমাদের ন্যায়বিচার ও উত্তম আচরণের নির্দেশ দেন এবং তিনি অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে নিষেধ করেন।”
— (সুরা নাহল, আয়াত ৯০)
অন্যায়ের জন্য আল্লাহর ধিক্কার:
“যারা অন্যায় করে, আল্লাহ তাদের ওপর তাঁর অভিশাপ দেন।”
— (সুরা হুদ, আয়াত ১৮)
মাহাত্মা গান্ধী:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে মৌনতা হলো অন্যায়।”
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হচ্ছে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর সর্বোত্তম উপায়।”
অন্যায় নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
জর্জ অরওয়েল:
“যখন একজন মানুষের কথার সত্যতা নষ্ট হয়, তখন সে একজন মানুষ হয়ে ওঠে।”
প্লেটো:
“ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে যে সমাজ গড়ে ওঠে, তা কখনো ভেঙে পড়ে না।”
ডালাই লামা:
“শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত, তবে সহিংসতা ব্যবহার না করে।”
ফ্রিডরিখ নিটশে:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কেবল কথা বলা যথেষ্ট নয়; আমাদের কাজের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত করতে হবে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
“অন্যায় থেকে যদি মুক্তি না পাওয়া যায়, তবে জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।”
লিঙ্গটন এরিস:
“অন্যায়ের প্রতি নীরব থাকা হল অন্যায়ের সহযোগিতা।”
নেলসন ম্যান্ডেলা:
“আমি জানি যে, আমি সঠিক পথে আছি। তবে সঠিক পথে থাকা একা অনেক কিছুই করতে পারে না, তা করতে হবে সংগঠিতভাবে।”
পিতার দায়িত্ব:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, একজনের ধর্মীয় এবং মানবিক দায়িত্ব।”
মাহাত্মা গান্ধী:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে মৌনতা হলো অন্যায়।”
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হচ্ছে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর সর্বোত্তম উপায়।”
প্লেটো:
“ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সমাজ কখনো ভেঙে পড়ে না।”
জর্জ অরওয়েল:
“যখন একজন মানুষের কথার সত্যতা নষ্ট হয়, তখন সে একজন মানুষ হয়ে ওঠে।”
ফ্রিডরিখ নিটশে:
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কেবল কথা বলা যথেষ্ট নয়; আমাদের কাজের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত করতে হবে।”
ডালাই লামা:
“শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত, তবে সহিংসতা ব্যবহার না করে।”
নেলসন ম্যান্ডেলা:
“আমি জানি যে, আমি সঠিক পথে আছি। তবে সঠিক পথে থাকা একা অনেক কিছুই করতে পারে না, তা করতে হবে সংগঠিতভাবে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
“অন্যায় থেকে মুক্তি পাওয়া জীবনের উদ্দেশ্য।”
লিঙ্গটন এরিস:
“অন্যায়ের প্রতি নীরব থাকা হল অন্যায়ের সহযোগিতা।”
মহাত্মা গান্ধী:
“সত্য হল সর্বোচ্চ শক্তি; কিন্তু যখন সত্য বিপদে পড়ে, তখন সাহসই সত্যের সাহায্যে আসে।”
এই উক্তিগুলো অন্যায় ও ন্যায়ের গুরুত্ব এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আমাদের আরো প্রিয় উক্তিগুলো জেনে নিতে পারবো, আমাদের সমাজ বাস্তবতার মধ্য থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে মহান মনীষীদের এ বাণীগুলো আমাদের জীবনে এক প্রদীপ তৈরি করতে সাহায্য করবে ।
সর্বোপরি আমরা একথা বলতে পারি, মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেই সুপ্ত জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য মহান মনীষীদের মহান বাণী গুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোপরি চেষ্টা করে যাব, তাহলে আমাদের জীবনে সময় গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব। এই ‘ অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ জীবনকে নতুনভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে ।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।