বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির জন্য শিক্ষাগত সনদ যাচাই দীর্ঘদিন ধরেই ছিল সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও জটিল প্রক্রিয়া। অনেককে এ জন্য দূতাবাস ও বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার যেতে হতো। এতে বাড়তি খরচ, দেরি এবং ঝামেলা তৈরি হতো। এবার সেই জটিল প্রক্রিয়া সহজ করেছে সরকার। এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে শিক্ষাগত সনদ যাচাই ও অ্যাপোস্টিল সনদ পাওয়া যাবে। শনিবার (২৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন এ ব্যবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের শিক্ষাগত সনদ ও অন্যান্য পাবলিক ডকুমেন্ট যাচাই করে অ্যাপোস্টিল সার্টিফিকেট দেবে। এতে বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির উদ্দেশ্যে আর দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিকভাবে যেতে হবে না। অনলাইনে আবেদন ও যাচাইয়ের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত, স্বচ্ছ ও খরচ সাশ্রয়ী হবে। সরকারের হিসাবে এ উদ্যোগের ফলে বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব হবে।
ডিজিটাল সিস্টেম চালু হওয়ায় প্রতারণা ও জাল সনদের ব্যবহারও কমে আসবে। যাচাইকৃত সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও নিয়োগকর্তাদের কাছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র আরও গ্রহণযোগ্য হবে। এতে বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি ও অভিবাসনের পথ আগের চেয়ে অনেক সহজ হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ পদক্ষেপ তরুণদের স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে সময় ও খরচ বাঁচবে, জটিলতা কমবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও কর্মীরা এগিয়ে যেতে পারবেন। সরকারের আশা, এ উদ্যোগ দেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।