জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের তিন নেতার উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে একজনকে বিচার বহির্ভূত বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবী সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এ ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছে তারা।
বুধবার (১৬ জুলাই) বাংলা বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়।
আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেন, “ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে সম্প্রতি সংঘটিত বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে কোথাও বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমনকে আক্রমণাত্মক আচরণ করতে কিংবা কাউকে উসকাতে দেখা যায়নি। বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সবাইকে শান্ত রাখতে তাকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কোনো অন্যায়ের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।”
শিক্ষার্থীরা আবেদন পত্রে আরও উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইমরান হাসান ইমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তাদের বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ইমন মারামারি ঠেকাতে চেষ্টা করেছেন। তাদের আবেদন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তদন্ত কমিটির।”
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের ১৫তম আবর্তন থেকে ২০তম আবর্তন রানিং ব্যাচগুলো ইমরান হাসান ইমনকে বিচার বহির্ভূত বহিষ্কার প্রত্যাহার জানিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই ছাত্রদল কর্তৃক দুই ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও বাগছাস জবি শাখার ৩ নেতার উপর হামলার ঘটনার তদন্ত শেষে ইমনসহ ছয় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।