চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘ চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পৃথিবীতে সফল ব্যক্তিরা সফল হওয়ার একটিমাত্র কারণ তারা পৃথিবীতে আগে জ্ঞান অর্জন করে আর সেই জ্ঞানগুলো পূর্ণতা দেয় মহান মনীষীরা এখন আমরা জেনে নেব সেই মহান মনীষীদের উক্তিগুলো, জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘ চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ সম্পর্কে।
হাদিস শরীফ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।”
— (বুখারী, মুসলিম)
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন:
“বেশি কথা মানুষের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। চুপ থাকা মানুষের জন্য পবিত্রতা, এটি মানুষকে তার সম্মান বাড়াতে সাহায্য করে।”
ইমাম শাফায়ী (রহঃ):
“যখন কথা বলা তোমার জন্য প্রয়োজনীয় নয়, তখন নীরবতা তোমার জন্য উত্তম। কারণ, চুপ থাকা নিরাপত্তা এবং সম্মানের রক্ষাকবচ।”
হযরত উমর (রাঃ) বলেছেন:
“যে চুপ থাকে সে নিরাপদে থাকে।”
হাদিসে এসেছে:
“মানুষের কথার মধ্যে অধিকাংশ ভুল হয় তার জিহ্বার কারণে। তাই নীরবতা হলো মুমিনের জন্য সুরক্ষার ঢাল।”
— (তিরমিজি)
ইসলামিক উক্তি
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।”
— (বুখারী, মুসলিম)
হাদিস শরীফ:
“মানুষের অধিকাংশ পাপ তার জিহ্বার কারণে হয়।”
— (তিরমিজি)
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন:
“চুপ থাকা এমন এক গুণ যা থেকে কখনো আফসোস হয় না।”
হযরত উমর (রাঃ) বলেছেন:
“যে চুপ থাকে সে নিরাপদে থাকে।”
ইমাম শাফায়ী (রহঃ) বলেছেন:
“যখন কথা বলা প্রয়োজনীয় নয়, তখন নীরবতা শ্রেয়।”
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“চুপ থাকা জ্ঞানকে বাড়ায় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে।”
— (তিরমিজি)
হাদিস শরীফ:
“মানুষের কল্যাণকর কথা হল এমন কথা বলা যা অন্যকে উপকারে আসে, নয়তো নীরব থাকাই উত্তম।”
— (বুখারী)
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন:
“নীরবতা জ্ঞানীর শোভা এবং মূর্খের ঢাল।”
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
“মানুষের সফলতা চুপ থাকা এবং চিন্তাশীল থাকার মধ্যে নিহিত।”
— (মুসলিম)
ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বলেছেন:
“অপ্রয়োজনীয় কথা মানুষের অন্তরে অন্ধকার সৃষ্টি করে, আর নীরবতা অন্তরে আলোর জন্ম দেয়।”
“নীরবতা হলো মহান শক্তি; নীরবতা ছাড়া কোনো মহান কাজ সম্ভব নয়।”
— টলস্টয়
চুপ থাকা নিয়ে উক্তি
“যেখানে কথা বলা প্রয়োজনীয় নয়, সেখানে নীরবতা শ্রেয়।”
— ইমাম শাফায়ী (রহঃ)
“যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে তার জীবনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
— হযরত আলী (রাঃ)
“শব্দ অনেক কিছু বলে, কিন্তু নীরবতা সবকিছু বলে।”
— অজ্ঞাত
“অপ্রয়োজনীয় কথা হলো মূর্খতার পরিচয়; আর চুপ থাকা হলো প্রজ্ঞার নিদর্শন।”
— সক্রেটিস
“নীরবতা এমন এক জিনিস, যা কখনো তোমাকে আঘাত করবে না।”
— অজ্ঞাত
“কখনো কখনো নীরবতা সবচেয়ে শক্তিশালী চিৎকার।”
— অজ্ঞাত
“চুপ থাকা মানে সবসময় হার মানা নয়, এটা মানে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী যে প্রতিক্রিয়া দেখানো প্রয়োজন নয়।”
— অজ্ঞাত
“যখন তুমি নীরব থাকো, তখন তুমি নিজের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখো।”
— লাও ৎসে
“কিছু পরিস্থিতিতে নীরবতাই একমাত্র বুদ্ধিমানের উপায়।”
— প্লেটো
“নীরবতা অনেক সময় সবচেয়ে বড় চিৎকার।”
— অজ্ঞাত
“যেখানে কথা বলা প্রয়োজনীয় নয়, সেখানে নীরবতা শ্রেয়।”
— ইমাম শাফায়ী (রহঃ)
“শব্দ অনেক কিছু বলে, কিন্তু নীরবতা সবকিছু বলে।”
— অজ্ঞাত
“নীরবতা হলো জ্ঞানীর গহনা, আর মূর্খের শাস্তি।”
— সক্রেটিস
“যে নীরবতা জানে, সে নিজেকে জানে।”
— লাও ৎসে
“চুপ থাকো এবং সবাইকে ভাবতে দাও যে তুমি মূর্খ, কথা বলো এবং সন্দেহ দূর করো।”
— মার্ক টোয়েন
“যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে তার জীবনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
— হযরত আলী (রাঃ)
“নীরবতা হলো মহান শক্তি; নীরবতা ছাড়া কোনো মহান কাজ সম্ভব নয়।”
— টলস্টয়
“নীরবতা এমন একটি বন্ধু, যা কখনো তোমাকে আঘাত করবে না।”
— কনফুসিয়াস
“চুপ থাকা কখনও কখনও সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া।”
— অজ্ঞাত
এই উক্তিগুলো নীরবতার গুরুত্ব এবং শক্তির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে।
উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আমাদের আরো প্রিয় উক্তিগুলো জেনে নিতে পারবো, আমাদের সমাজ বাস্তবতার মধ্য থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে মহান মনীষীদের এ বাণীগুলো আমাদের জীবনে এক প্রদীপ তৈরি করতে সাহায্য করবে ।
সর্বোপরি আমরা একথা বলতে পারি, মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেই সুপ্ত জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য মহান মনীষীদের মহান বাণী গুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোপরি চেষ্টা করে যাব, তাহলে আমাদের জীবনে সময় গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব। এই ‘ চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ জীবনকে নতুনভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে ।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ চুপ থাকা নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।