খোশ আমদেদ মাহে রমযান খুররম মুরাদ বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
খোশ আমদেদ মাহে রমযান খুররম মুরাদ বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ খোশ আমদেদ মাহে রমযান খুররম মুরাদ বুক রিভিউ ‘ সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুক রিভিউ
উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহান আল্লাহর বড় বড় নেয়ামত সমুহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাহে রমাদান। এটি এমন একটি মাস, যে মাসের একেকটি নফল ফরজের সমান হয়। আর একেকটি ফরজ সত্তর থেকে শুরু করে সাতশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ার ঘোষণা এসেছে মহান রব আল্লাহর পক্ষ থেকে।
রমাদান মাস এতই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অনেক গুলো কারণের মধ্যে মূল কারণটি হচ্ছে- এই মাসে মানবজাতির হেদায়তের পথনির্দেশিকা, মানবজাতির জীবন অতিবাহিত করার গাইডলাইন আল কুরআন নাযিল হয়েছে এই মাসে। আর সেই কুরআনের সম্মানেই মূলত রমাদান এতই গুরুত্ব। কিন্তু আমরা কি কুরআনকে সেভাবে গুরুত্ব দিই যেভাবে কুরআন আমাদের কাছ থেকে গুরুত্ব দাবী করে? আমরা কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য কিংবা কুরআনের দাবী অনুযায়ী কি রমাদানকে অতিবাহিত করি? রমাদান এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? রমাদান আমাদের কাছে কী চায়- এসব বিষয় নিয়ে কি প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ভেবে দেখি?

বিশ শতকের ইসলামিক স্কলার পৃথিবী খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার জনাব খুররম মুরাদ রহিমাহুল্লাহ তাঁর খোশ আমদেদ বইয়ে এসবের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। ৪৮ পৃষ্ঠার এই বইটিকে তিনি চারটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন।
খোশ আমদেদ মাহে রমযান খুররম মুরাদ
★প্রথম অধ্যায়- রমযানুল মোবারক : কুরআন মাজীদ ও তাকওয়া।
★দ্বিতীয় অধ্যায়- আপনারা কি করবেন?
★তৃতীয় অধ্যায়- শেষ আকাঙ্ক্ষা।
★চতুর্থ অধ্যায়- রোযার আদব ও হাকীকত।
এই চারটি অধ্যায়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে “আপনারা কি করবেন” শিরোনামে লেখক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দশটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন- যা সচেতন প্রত্যেক মুসলমান যারা রমাদানকে নিজেদের জীবনের পট পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাদের জানা আবশ্যক।
আর চতুর্থ অধ্যায়ে “রোযার আদব ও হাকীকত” শিরোনামে ছয়টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন যা রমাদানকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়ার ক্ষেত্রে খুবই ভূমিকা পালন করে।
জনাব খুররম মুরাদের প্রত্যেকটি বই-ই অসাধারণ। তন্মধ্যে এই বইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা তাঁর এই বান্দাকে উত্তম জাযা দান করুক।
সর্বোপরি রহমাত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হওয়া মাহে রমাদান থেকে তখনই আমরা উপকৃত হবো যখন এই রমাদানের উদ্দেশ্য আমরা উপলব্ধি করতে পারবো। নতুবা আমরা সেই রমাদান-ই অতিবাহিত করবো যার ব্যাপারে রাসূলের ভবিষ্যতবাণী হলো, তোমাদের মধ্যে এমন কতক লোক রয়েছে যাদের রোযা উপবাস ছাড়া আর কিছু হয় না।
তাই রমাদান ফরজ হওয়ার মূল হাকীকত, কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য, আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ইত্যাদি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব জানার ক্ষেত্রে “খোশ আমদেদ মাহে রমযান” বইটি অনেক কার্যকর হবে বলেই প্রত্যাশা করছি।
রমাদানকে যারা মুক্তির একমাত্র মাধ্যম বানাতে চান রমাদান শুরু হওয়ার আগেই তাদেরকে বইটি পড়ার অনুরোধ করছি।
( কৃতজ্ঞ =বই পর্যালোচনা,জাহেদুল ইসলাম, বইয়ের নামঃখোশ আমদেদ মাহে রমযান , লেখকঃ খুররম মুরাদ)
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।