দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য ‘ দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বুক রিভিউ ‘ বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বুক রিভিউ ‘ সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বুক রিভিউ

মূল আলোচ্য বিষয়: ‘দেবদাস’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা অসাধারণ উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। দেবদাস এবং পার্বতীকে নিয়ে গল্পের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।দেবদাস এবং পার্বতীর বাড়ি ছিল পাশাপাশি। দেবদাস জমিদার নারায়ন মুখার্জির ছোট ছেলে হলেও, পার্বতীরা ছিল মধ্যবিত্ত পরিবার। দেবদাস বয়সে পার্বতীর চেয়ে বড় হলেও, তারা একই সাথে একই পাঠশালায় পড়ত। ছোট থেকে একসাথে বড় হওয়ায় তাদের মধ্যে ভালোলাগা তৈরি হয়। যেটি পরবর্তীতে রুপ নেয় ভালোবাসায়।
দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
শিক্ষা অর্জনের জন্য দেবদাস গ্রাম থেকে পাড়ি জমায় শহরে। কিন্তু পার্বতী থেকে যায় গ্রামে। প্রথম প্রথম তাদের মধ্যে চিঠির আদান-প্রদান থাকলেও পরবর্তীতে তা কমে যায়।
পার্বতী বিয়ের বয়সে উপনীত হলে, তার বাড়ি থেকে দেবদাসের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, পার্বতীর পরিবার থেকে পণ গ্রহনের প্রথা থাকায় এবং বাড়ির পাশে হওয়ায় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমে দেবদাস বাবা-মায়ের মতের বিরুদ্ধে কিছু করতে না চাইলেও, যখন বুঝতে পারে, তখন অন্য গ্রামের জমিদারের (ভুবনমোহন চৌধুরীর) সাথে পার্বতীর বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় কিছুই করার থাকে না।
দুঃখ ভুলতে পাশের রুমমেট চুনিলালের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়, নর্তকি চন্দ্রমুখীর সাথে( দেবদাসকে ভালোবেসে সে পরবর্তীতে পরিবর্তন হয়ে যায়)। দেবদাস মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে, চন্দ্রমূখী তাকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলে।
সুস্থ হয়ে দেবদাস ধর্মদাসকে(দেবদাসের বাড়ির কাজের লোক) সাথে নিয়ে এলাহাবাদ, বোম্বায়সহ বেশ কিছু জায়গায় ভ্রমণ করে। বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে, ধর্মদাস সারারাত সেবা করে সকালে ঘুমিয়ে পড়লে, তাকে কিছু না জানিয়ে ট্রেন থেকে নেমে গরুর গাড়িতে পার্বতীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়( সে পার্বতীর কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল, মরার আগে একবার হলেও তার সাথে দেখা করবে এবং পার্বতী তার সেবা করতে চায়)।
পথিমধ্যে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে দেবদাস এবং সকাল ৯টার দিক পার্বতীর বাড়ির সামনেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পার্বতীর কাছে খবর আসলে সে পাগলের মত বাইরে যেতে চায়। কিন্তু তাকে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে যেতে দেওয়া হয় না।
উপন্যাসটিতে বেশ কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে –
১. সঙ্গ দোষ ( কিভাবে খারাপ সঙ্গীর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায় জীবন)
২. স্নেহময় একজনের অভাব, কিভাবে মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
৩. সময়ের কাজ সময়ে না করে, পরবর্তীতে শত চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায় না
( কৃতজ্ঞ =বই পর্যালোচনা, আব্দুল্লাহ আল মাহিম ,বই : দেবদাস লেখক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো ‘ দেবদাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বুক রিভিউ ‘ বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।