যদ্যপি আমার গুরু আহমেদ ছফা বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য ‘ যদ্যপি আমার গুরু আহমেদ ছফা বুক রিভিউ ‘ বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
যদ্যপি আমার গুরু আহমেদ ছফা বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ যদ্যপি আমার গুরু আহমেদ ছফা বুক রিভিউ ‘ সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আহমেদ ছফা বুক রিভিউ
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ কথাটি বলতে বা শুনতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু এখনকার বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে মস্ত বড়ো দালান আছে, পর্যাপ্ত বই আছে,পড়াশোনা করার মন মানসিকতার মানুষ আছে, গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে পাশাপাশি দুর্নীতিও আছে কিন্তু পড়াশোনা করার পরিবেশটা নেই,মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে কিন্তু বাস্তবে কাশি দেওয়ার ও অধিকার নেই। যাইহোক এসব কথা বলা বলে আপনাদের বিরক্ত করে লাভ নেই।
আহমদ ছফার “যদ্যপি আমার গুরু ” বইটি নিয়ে কিছু অগোছালো কথা বলে ফেলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটির কাছের ইতিহাস যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই বইটা আপনার জন্য উপকারী হবে। আহমদ ছফার পিএইচডি করার সময় তিনি ও প্রফেসর রাজ্জাক এর মধ্যকার কিছু ঘটনা এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে। ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যেকার বর্তমান সম্পর্কগুলো কেন যেন মেটেরিয়ালিস্টিক হয়ে গেছে। শিক্ষকদের নিয়ে কথা নাই বললাম।

যদ্যপি আমার গুরু বুক রিভিউ
বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা প্রবনতা দেখা যায় তা হলো শিক্ষকদের সাথে সম্পর্ক করতে চায় শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য। শিক্ষক-ছাত্রের মধুর সম্পর্কের কিছু কল্পনা যদি আপনার ভাবনায় আনতে চান তাহলে এই বইটি কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে। কারফিউ টাইমে শিক্ষক ছাত্রের মাঝে দাবা খেলার রোমাঞ্চকর মুহূর্ত পাবেন এই বইতে। জীবনে বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে সাহয্য করবে এই বই। ও একই শিক্ষকের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে প্রেম হওয়ারও এক রোমান্টিক কাহিনি পাবেন এই বইতে। বিশ্ব ইতিহাস রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য সব কিছুর হালকা আলোচনা পাবেন এই বইতে। রিভিউ লেখার অভ্যাস আমার নেই, তারপরও লিখলাম।
আমার ভালো লাগা কয়েকটি লাইন :-
“আপনে যখন মনে করলেন, কোন বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কি না। “
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়ে থাকে। এই তুলনাটা কেন করা হয় তার হেতু অদ্যাবধি আমি আবিষ্কার করতে পারিনি।
ঘর বাড়ি দালান অট্টালিকা এ সকল ভৌত কাঠামোগত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অক্সফোর্ড এর সঙ্গে তুলনা করা হয়, আমার বলার কিছু থাকে। “
“রাজ্জাক স্যার আফসোস করতেন, আরবি, ফারসি ও সংস্কৃতি, পালি,জানা লোকের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে দুর্লভ হয়ে উঠেছে। “
“পরিচিত হওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই তার সামনে সিগারেট খেতে আরম্ভ করেছি।”
“তাড়াহুড়া কইরেন না। কি পড়ছেন হেইডাপরিষ্কার ভাবে বুঝবার চেষ্টা করবেন। “
“কিছু জিনিস কাউরে অন্য মানুষের সামনে দিলে মনে কষ্ট পাইতে পারে। “
টাইপ করতে অনেক কষ্ট। তাই এখনেই বকবক শেষ করছি। ধন্যবাদ সকলকে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। সকলে পড়তে বসেন।
( কৃতজ্ঞ = বুক রিভিউ হাসিবুল ইসলাম, বইয়ের নাম :যদ্যপি আমার গুরু, লেখক: আহমেদ ছফা)
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।