জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে, ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি’ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি’ সম্পর্কে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীকে সবচেয়ে ভালোভাবে যত্ন করে।” (তিরমিজি)
আরও একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “বিয়ে করো, কারণ তা তোমাদের চোখকে নামাজের প্রতি মনোযোগী করে এবং তোমাদের চরিত্রকে ভালো করে।” (ইবনে মাজা)
ইসলামিক উক্তি
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “আর তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে থেকে একজন জীবনসঙ্গী সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে তোমরা তাদের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তা পেতে পারো।” (সূরা আর-রূম, আয়াত ২১)
আরও একটি আয়াতে আল্লাহ বলেছেন: “তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে ভালোভাবে আচরণ করো, কারণ তাদের মধ্যে যদি তোমাদের পছন্দ না হয়, তবে হয়তো আল্লাহ অনেক কিছু জানেন যা তোমরা জানো না।” (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “বিয়ে করো, কারণ তা তোমাদের চোখকে নামাজের প্রতি মনোযোগী করে এবং তোমাদের চরিত্রকে ভালো করে।” (ইবনে মাজা)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীকে সবচেয়ে ভালোভাবে যত্ন করে।” (তিরমিজি)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “আর তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে থেকে একজন জীবনসঙ্গী সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে তোমরা তাদের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তা পেতে পারো।” (সূরা আর-রূম, আয়াত ২১)

আরও একটি আয়াতে আল্লাহ বলেছেন: “তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে ভালোভাবে আচরণ করো, কারণ তাদের মধ্যে যদি তোমাদের পছন্দ না হয়, তবে হয়তো আল্লাহ অনেক কিছু জানেন যা তোমরা জানো না।” (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “সৎ মুমিন সেই, যে তার পরিবারকে সৎভাবে গ্রহণ করে এবং তার স্ত্রীকে সুন্দরভাবে ব্যবহার করে।” (ইবনে মাজা)
হযরত আলী (র.) বলেছেন: “মহিলা হলো পরিবারের মায়া-মমতা এবং আশ্রয়স্থল। তাই তার প্রতি সদয় হওয়া উচিত।” (নাহজুল বালাগা)
জীবনসঙ্গী নিয়ে উক্তি
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার পরিবারকে রিযিকের জন্য শ্রম দেয়, তা তার জন্য সদকাহ হিসেবে গণ্য হবে।” (বুখারি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “বিয়ে হচ্ছে আমার সুন্নাহ এবং যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহকে সম্মান করবে না, সে আমার দলের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (ইবনে মাজা)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “একজন মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীর জন্য যে উপহার দেবে তা যেন আদর্শ উপহার হয়, তবে তা যদি তার প্রয়োজনীয়তার জন্য হয়।” (তিরমিজি)
হযরত উমর (র.) বলেছেন: “তোমার স্ত্রীকে তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। কারণ সে তোমার বিশ্বাসী সঙ্গী।” (বুখারি ও মুসলিম)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “অতঃপর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে দাঁড়াবে এবং তার নিজস্ব আত্মাকে সামলাবে, সে সফল হবে।” (সূরা আল-নাজি’আত, আয়াত ৪১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “সফলতা অর্জনের জন্য তোমাকে সত্যিকারের চেষ্টা করতে হবে, আর আল্লাহ তা’আলা তোমার চেষ্টা ফলদায়ক করবেন।” (বুখারি)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যদি তোমার কর্ম সৎ হয়, তুমি আল্লাহর সাথে সরাসরি সম্পর্ক রাখো এবং তোমার চেষ্টা পূর্ণতা অর্জন করো, তবে সাফল্য অবশ্যই আসবে।” (ইবনে মাজা)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “আর যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে, তাদের পথ আমরা অবশ্যই দেখিয়ে দেবো। আল্লাহ নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা আল-আঙ্কাবুত, আয়াত ৬৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি নিজের পরিশ্রমকে সৎভাবে সম্পন্ন করবে, সে সফল হবে।” (বুখারি)
হযরত আলী (র.) বলেছেন: “সফলতা শুধুমাত্র স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে আসে না, বরং কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় ইচ্ছার মাধ্যমে আসে।” (নাহজুল বালাগা)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “তোমাদের ধৈর্য এবং নামাজের সাহায্যে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫۳)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি নিজের কাজে ইখলাস (নিশ্চিত আন্তরিকতা) বজায় রাখবে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে চেষ্টা করবে, সে সফল হবে।” (মুসলিম)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “যারা আল্লাহর পথে বিনিয়োগ করবে, তাদের বিনিয়োগ নষ্ট হবে না।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “সফলতা অর্জনের জন্য কেবলই আন্তরিকতা এবং সৎপরিশ্রম প্রয়োজন। আল্লাহ সফলতা দানকারী।” (তিরমিজি)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “এবং যে আল্লাহর পথপ্রদর্শন অনুসরণ করবে, সে সফল হবে।” (সূরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত ৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আপনার শ্রমই আপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। সফলতা তোমার পরিশ্রমের ফল।” (বুখারি)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “যারা ধৈর্যশীল এবং যারা নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করে, তাদের জন্য সফলতা রয়েছে।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “একজন মুসলমানের সফলতা তার চেষ্টা ও পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে, আল্লাহ তার চেষ্টা ফলপ্রসূ করবেন।” (ইবনে মাজা)
হযরত আলী (র.) বলেছেন: “সফলতা কোন দৈব ঘটনা নয়, বরং এটি কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় মনোভাবের ফল।” (নাহজুল বালাগা)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “তোমরা নিজেদেরকে ক্ষতির মধ্যে ফেলো না, বরং তোমরা সৎকর্ম করার চেষ্টা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মশীলদের।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তোমার মনে স্থির সংকল্প থাকা উচিত এবং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।” (তিরমিজি)
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন: “যারা পরিশ্রম করবে তাদের কর্ম কখনও ব্যর্থ হবে না।” (সূরা আল-আনকাবুত, আয়াত ৬৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি নিজের চেষ্টা সৎভাবে করবে এবং আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখবে, তার সফলতা আসবেই।” (মুসলিম)
হযরত উমর (র.) বলেছেন: “সফলতা সবসময় কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল। তুমি যত বেশি চেষ্টা করবে, ততই সফলতার সম্ভাবনা বাড়বে।” (বুখারি)
এই উক্তিগুলি সাফল্যের পথে সৎকর্ম, পরিশ্রম, ধৈর্য, এবং আল্লাহর সাহায্যের গুরুত্বকে উল্লেখ করে।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।