সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে, ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি’ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি’ সম্পর্কে।
. “যে কেউ তার ভাইয়ের সম্মানহানি করে, সে যেন ঈমান নষ্ট করে দিয়েছে।”
— হাদীস
“যে ব্যক্তি সম্মানিত হতে চায়, সে যেন আল্লাহর প্রতি সৎ থাকে।”
— হাদীস
“আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত করে সে ব্যক্তিকে, যে সম্মানিত করতে পারে অন্যদের।”
— হাদীস
. “তোমরা যা করতে চাও, তা অন্যদের জন্যও করতে চাও।”
— হাদীস
ইসলামিক উক্তি
. “নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদের হুকুম দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানতদারির কাজ সম্পন্ন করবে এবং মানুষের মধ্যে যথাযথ বিচার করবে।”
— সূরা আন-নিসা ৪:৫৮
. “যে ব্যক্তি সম্মানিত হতে চায়, সে যেন আল্লাহর প্রতি সৎ থাকে।”
— হাদীস
“যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মানহানি করে, সে যেন ঈমান নষ্ট করেছে।”
— হাদীস
. “তোমরা একে অপরকে সম্মান দাও এবং দয়া করো।”
— হাদীস
“আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে সম্মানিত করে, যে নিজের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখে এবং অন্যের সম্মান বজায় রাখে।”
— হাদীস
“মুসলিম হলো সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।”
— হাদীস (সহীহ মুসলিম)
. “যে ব্যক্তি অন্যদের সম্মান করে, আল্লাহ তার সম্মান বাড়িয়ে দেন।”
— হাদীস
সম্মান নিয়ে উক্তি
. “তোমরা একে অপরকে ধন্যবাদ দিতে শিখো, কারণ এটি মানুষের সম্মান বৃদ্ধি করে।”
— হাদীস
. “যে কাউকে সম্মানিত করার চেষ্টা করে, তার সম্মানও আল্লাহ বাড়িয়ে দেন।”
— হাদীস
. “যে ব্যক্তি নিজের সম্মান রক্ষা করতে চায়, সে যেন অন্যদের সম্মান করতে শেখে।”
— হাদীস
“অহংকার করার একমাত্ৰ স্থান আল্লাহর।”
— হাদীস (সহীহ মুসলিম)
. “যে ব্যক্তি তার অন্তরে এক মুহূর্তের জন্যও অহংকার ধারণ করে, সে জানবে না যে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে কি না।”
— হাদীস (সহীহ মুসলিম)
. “আল্লাহ অহংকারী ব্যক্তিদের পছন্দ করেন না।”
— সূরা লুকমান ৩১:১৮
. “যে ব্যক্তি অহংকার ও গর্বের সাথে চলবে, আল্লাহ তাকে পৃথিবীতে পরাজিত করবেন।”
— হাদীস
. “অহংকারের জন্যে যে ব্যক্তি নিজেকে বড় মনে করে, আল্লাহ তার পরিমাণ কমিয়ে দেন।”
— হাদীস
“অহংকার এবং গর্ব আল্লাহর সম্পত্তি, এবং তারা কেবলমাত্র আল্লাহর ক্ষমতাসম্পন্ন।”
— হাদীস
“মুসলমানদের উচিত অহংকারের পরিবর্তে নম্রতা প্রদর্শন করা।”
— হাদীস
“অহংকার করলে তুমি সত্যকে মেনে নিতে পারবে না।”
— হাদীস
“অহংকার এবং গর্বের মধ্যে যে ব্যক্তি থাকে, সে জান্নাতের দরজা থেকে বঞ্চিত হতে পারে।”
— হাদীস
. “যে ব্যক্তির অন্তরে একটি দানা অহংকারও থাকলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
— হাদীস (সহীহ মুসলিম)
“আল্লাহ অহংকারী এবং গর্বী ব্যক্তিদের পছন্দ করেন না।”
— সূরা লুকমান ৩১:১৮
. “যে ব্যক্তি এক মুহূর্তের জন্যও তার অন্তরে অহংকার ধারণ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
— হাদীস (সহীহ মুসলিম)
. “যে ব্যক্তি অহংকার করে, আল্লাহ তাকে পৃথিবীতে পরাজিত করবেন এবং পরকালেও তাঁকে অবমাননা করবেন।”
— হাদীস
. “অহংকার আল্লাহর একমাত্র অধিকার; তাই তুমি অহংকার থেকে বিরত থাকো।”
— হাদীস
. “মুসলমানের অহংকার ও গর্বের কোনো স্থান নেই।”
— হাদীস
. “যে ব্যক্তি অহংকার করে, তার অন্তর আধ্যাত্মিক অন্ধত্বে আক্রান্ত হয়।”
— হাদীস
. “অহংকার করার ফলে তোমার গুণাবলি ও মহান গুণাবলি ঢাকা পড়ে যায়।”
— হাদীস
. “অহংকারের জন্য তুমি নিজেকে মহান মনে করো, কিন্তু আল্লাহ তোমাকে ছোট করে দেন।”
— হাদীস
. “অহংকার অন্যকে দুঃখিত করে, আর নম্রতা হৃদয়কে শান্ত করে।”
— হাদীস
. “যে ব্যক্তি নিজের প্রতি অহংকার করে, সে সত্যকে মেনে নিতে পারে না।”
— হাদীস
এসব উক্তি অহংকারের বিপরীতে নম্রতা ও বিনম্রতার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং অহংকারের ফলাফল সম্পর্কে সচেতন করে।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।
