আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার (৯ মে) সকাল ৭টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলতে দেখা যায়। তবে রাতের তুলনায় সকালের দিকে জনসমাগম কিছুটা কমে গেছে। আন্দোলন শুরুর ৯ ঘণ্টা পার হলেও এখনো প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
আন্দোলনকারীরা মুহুমুহু স্লোগান, গান, হামদ ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা “ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর”, “ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা”, “আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও, ঘুরিয়ে দাও”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে”—এমন নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
অবস্থান কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে এবং যমুনার সামনেই আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরির জন্য বাঁশ, কাঠসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আনা শুরু হয়েছে। তবে সকাল ৭টা পর্যন্ত মঞ্চ নির্মাণের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
ফজরের আজানের পর সাড়ে ৪টার দিকে উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়। এসময় এনসিপিসহ কয়েকটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের এলাকা ত্যাগ করতে দেখা যায়। তবে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে আবার কর্মসূচিতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জুলাই ঐক্য, শিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ছাত্র পক্ষসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। সকাল পর্যন্ত ধীরে ধীরে তাদের উপস্থিতি বাড়তে দেখা যায়।