মরণোত্তম সাদাত হোসাইন বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
মরণোত্তম সাদাত হোসাইন বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ মরণোত্তম বুক রিভিউ সাদাত হোসাইন সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
হোসাইন বুক রিভিউ
‘মরণোত্তম’ শব্দের ভাব অর্থ এমন যে, যেখানে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু উত্তম। লেখক সাদাত হোসাইন তাঁর ‘মরণোত্তম’ উপন্যাসে এমন একটি কাহিনী চিত্রিত করেছেন, যেখানে জীবনের অপেক্ষা মৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানুষের প্রতি মানুষের অমানবিকতা অথবা মানবতাবোধ, দুর্বলের প্রতি ক্ষমতাসীনদের নির্মম অত্যাচার, ফেসবুকের এই যুগে মানুষের কাণ্ডজ্ঞানহীনতা, আমাদের ঘুণে ধরা সমাজের এমন সব বিষয় উঠে এসেছে ‘মরণোত্তম’ উপন্যাসে।
‘মরণোত্তম’ উপন্যাসের একটি চরিত্র আজিজ মাস্টার। এক বুক কষ্ট নিয়ে ঢাকায় আসেন তাঁর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন করার জন্য। এখান থেকে আজিজ মাস্টারের পরিচয় হয় আসাদ নামে একজনের সাথে। আজিজ মাস্টার প্রথমে বলতে না চাইলেও আসাদ গভীর মানবিকতার পরিচয় দিয়ে আজিজ মাস্টারের হৃদয় থেকে সবকথা নিংড়ে বের করে আনে।

আজিজ মাস্টারের প্রথমে দাবি ছিল তার স্কুলটি যেন এমপিও ভুক্ত করা হয়। কিন্তু আসলেই কি তার দাবি এতটাই সামান্য ছিল? পাঠক যদি এই বইটা হাতে নিয়ে গভীরভাবে নিরীক্ষণ করে দেখেন, তাহলে বইটির প্রচ্ছদে দেখবেন একজন দাড়িগোঁফওয়ালা প্রৌঢ় ব্যক্তি হাতে লাল মশাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার গলায় ঝোলানো রয়েছে একটি ব্ল্যাকবোর্ড এবং তাতে লেখা রয়েছে “আমিই কোহিনুরের বাবা”।
মরণোত্তম সাদাত হোসাইন
তিনি যদি তার স্কুল এমপিওভুক্ত করার জন্যই এসে থাকেন তবে কেন তার গলায় ঝুলানো ব্ল্যাকবোর্ডে এ কথা লেখা আছে কেন? এসবের অন্তরালে রয়েছে এক করুণ কাহিনী, যা পাঠকের হৃদয়কে বেদনায় বিদীর্ণ করবে।
সাদাত হোসাইনের লেখা ‘মরোণোত্তম’ বইটি আমার পড়া তাঁর প্রথম বই ছিল। সাদাত হোসাইনের অন্য বইগুলোর মতো এই বইটিও সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত। এছাড়া, সাদাত হোসাইনের লেখা অধিকাংশ বই বৃহৎ কলেবরের। কিন্তু এই বইটি মাত্র ৯৪ পৃষ্ঠা হওয়ায় পাঠক এক বসাতে শেষ করে ফেলতে পারবেন এবং বইয়ের ভাষা প্রাঞ্জল হাওয়ায় পাঠকের বইটি হৃদয়ঙ্গম করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এই বইয়ের ব্যবহৃত কবিতার দুটি লাইন থেকে অনুমেয়:-
“সেই সে মিছিলে, তুমিও কি ছিলে, নাকি ছিল শুধু একা কেউ?
জেনে রেখো আজ, একা এ আওয়াজ, হবে শত সহস্র ঢেউ।”
( কৃতজ্ঞ =বই পর্যালোচনা, বই : মরণোত্তম , লেখক : সাদাত হোসাইন)
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।