দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য ‘ দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ ‘ বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ ‘ সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক।
হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ
উনার মতো ব্যক্তির সম্পর্কে নতুন করে বলার মতো সত্যিই আর কিছু নেই।
“দারুচিনি দ্বীপ” গল্পের নায়ক শুভ্র। হুমায়ূন আহমেদের কাছে শুভ্র হচ্ছে পৃথিবীর শুদ্ধতম একজন মানুষ। সে চোখের উপর হাই পাওয়ারের ভারী ফ্রেমের চশমা ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না। তার বন্ধুরা এজন্য তাকে “কানা বাবা” বলে খেপায়। জটিল পৃথিবীর সমস্ত রকমের জটিলতা থেকে সে নিজেকে দূরে রাখে।
তার বাবার বিপুল সম্পত্তি। কিন্তু অর্থের প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। পড়াশোনায় মনোযোগী সে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান এবং চোখের সমস্যার জটিলতার কারণে তার বাবা মা তাকে সবসময় আগলে রাখেন। যদিও শুভ্র এ জিনিসটি অপছন্দ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শুভ্রের বন্ধুরা মিলে একদিন ঠিক করে তারা একসাথে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরতে যাবে। তারা তাদের এই ভ্রমণের নাম দেয় “দারুচিনি দ্বীপ”। এদের এই ভ্রমণের পরিকল্পনা গুলো নিয়েই কাহিনি এগিয়ে চলে। তাদের এই ভ্রমণের নামের উপরেই বইয়ের নামকরণ করা হয়।
দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ
শুভ্রের এই বন্ধুরা সমাজের নিম্ন পর্যায়ের থেকে উচ্চ পর্যায়ের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে।
লেখক ভ্রমণের পরিকল্পনার সাথে সাথে প্রতিটি চরিত্রের আলাদা আলাদা কাহিনি তুলে ধরেন,তাদের পরিবারের কথা বলেন। একসাথে পড়ুয়া এই ছেলেমেয়েদের মাঝে কতই না বৈচিত্র্য! শুভ্র বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে,ভ্রমণে যাওয়ার জন্য টাকার চিন্তা তাকে করতে হয় না। অন্যদিকে তারই সহপাঠী জরি,সঞ্জু,বল্টু- তারা ভীষণ গরীব। ভ্রমণের টাকা জোগাড় করতে তাদের রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়।
এই উপন্যাসটি নিয়ে ২০০৭ সালে অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকির আহমেদ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে একই শিরোনামে ” দারুচিনি দ্বীপ” চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
আমার পছন্দের উক্তিঃ
– এই পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কখনো অপরিচিত মনে হয় না।
এই বইয়ের অন্যতম সুন্দর লেখা ছিল এর উৎসর্গ পত্র।
” মা মনি নোভা আহমেদ
এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির প্রথম পাঠিকা নবম শ্রেণির বালিকা আমার বড় মেয়ে নোভা আহমেদ। সে বই শেষ করেই আমাকে বললো,আমার যখন একুশ বছর বয়স হবে তখন কি তুমি আমাকে এই বইয়ের নায়িকার মতো একা একা সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ড যেতে দেবে?আমি বললাম- না।
সে কঠিন গলায় বলল,তাহলে তুমি এই বইয়ে মিথ্যা কথা কেন লিখলে? আমি তার অভিমানী চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে বাধ্য হলাম- আচ্ছা যাও তোমাকেও যেতে দেবো।”
উৎসর্গ পত্রটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
ব্যক্তিগতভাবে সঞ্জুর তার বাবার সাথে করা ব্যবহার ভালো লাগেনি। কাজ এবং পরিবারের চাপে অনেকসময় বাবারা নিজের সন্তানদের সময় দিতে পারেন না,দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় বাবা-সন্তানের মাঝে। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে এই বাবারাই তাদের সন্তানদের বন্ধু হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। সে সময়ে বাবাকে সাদরে গ্রহণ করাটাই প্রত্যেক সন্তানের উচিত বলে আমি মনে করি।
( কৃতজ্ঞ =বই পর্যালোচনা,নবনীতা দত্ত তিথি, বইয়ের নামঃ দারুচিনি দ্বীপ , লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ)
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো ‘ দারুচিনি দ্বীপ হুমায়ূন আহমেদ বুক রিভিউ ‘ বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।