জেদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘ জেদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
জেদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পৃথিবীতে সফল ব্যক্তিরা সফল হওয়ার একটিমাত্র কারণ তারা পৃথিবীতে আগে জ্ঞান অর্জন করে আর সেই জ্ঞানগুলো পূর্ণতা দেয় মহান মনীষীরা এখন আমরা জেনে নেব সেই মহান মনীষীদের উক্তিগুলো, জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘ জেদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ সম্পর্কে।
জেদ নিয়ে ইসলামে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও দৃষ্টান্ত রয়েছে। ইসলামে জেদ বা সংকল্পকে একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে এটি যদি অতিরিক্ত হয় বা সঠিক পথে ব্যবহার না হয়, তবে তা নেতিবাচক ফলাফলও বয়ে আনতে পারে।
এখানে কিছু ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হলো:
কুরআনের আয়াত: “وَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اكْتُبُوا” (আল-কাহফ: 36) – এখানে আল্লাহ্ মানব জাতিকে সংকল্পে দৃঢ় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদিস: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সঠিক ভাবে জেদ এবং সংকল্পের সাথে কাজ করলে আল্লাহ্ তোমাদের সাহায্য করবেন।”
ইমাম আলী (রা.) বলেন: “জেদ একটি শক্তিশালী অস্ত্র; যে ব্যক্তির জেদ সত্যের দিকে পরিচালিত হয়, সে সফল হবে।”
ইসলামিক উক্তি
আল কুরআন: “وَأَن لَّوْ كَانُوا يَسْمَعُونَ مَا قَالُوا، لَكَانُوا أَحَقَّ بِالْإِيمَانِ” (আল-হুজুরাত: 18) – এটি নির্দেশ করে যে, শক্তিশালী জেদ ও সংকল্প একজনকে ঈমানের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
রাসূল (সা.) বলেছেন: “প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরজ হলো, যে জিনিস তাকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, সেখান থেকে সে সরে যাবে।”
হাদিস: “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য জেদ করবে, আল্লাহ তাকে পথ দেখাবেন।”
ইমাম আলী (রা.) বলেন: “জেদ যদি সত্যের পথে হয়, তাহলে তা সমর্থন যোগ্য; অন্যথায় তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।”
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত: “জেদ একটি গুণ, তবে এটি অবশ্যই সঠিক পথে প্রয়োগ করতে হবে।”
হজরত উমর (রা.) বলেন: “আমি জানি, যারা জেদের সঙ্গে কাজ করে, তারা সফলতার মুখ দেখবে।”
রাসূল (সা.) বলেছেন: “একটি শক্তিশালী ইচ্ছা ও সংকল্পই মানুষের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে।”
ইমাম আল-গাজালি: “জেদ যদি কল্যাণের জন্য হয়, তবে তা প্রশংসনীয়; অন্যথায়, তা ধ্বংস ডেকে আনবে।”
আল কুরআন: “فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا” (আল-ইনশিরাহ: 6) – সংকল্প ও জেদের সঙ্গে চেষ্টা করলে কঠিন সময়েও সফলতা আসবে।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন: “যে ব্যক্তি জেদের সঙ্গে সৎ কাজে লিপ্ত হয়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।”
“জেদ হল সংকল্পের আরেক নাম। যদি আপনার সংকল্প শক্তিশালী হয়, তাহলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।”
“যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে, সে অনেক বাধা অতিক্রম করতে পারে।”
“জেদ আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে, কিন্তু তা যদি সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন তা ধ্বংসের কারণ হয়।”
“সাফল্যের প্রথম চাবিকাঠি হল দৃঢ় সংকল্প।”
“যখন আপনি জেদ নিয়ে কিছু করতে চান, তখন সাফল্যের পথ মসৃণ হয়ে যায়।”
“জেদ হল সেই শক্তি যা মানুষকে বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে।”
“আপনার সংকল্প যত শক্তিশালী হবে, তত বেশি সুযোগ আপনার সামনে আসবে।”
“জেদ একজন মানুষের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেয় এবং তাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।”
“একজন মানুষের সফলতা তার জেদের উপর নির্ভর করে।”
“জেদ শুধু একটি গুণ নয়, এটি একটি জীবনদর্শন।”
জেদ নিয়ে উক্তি
“জেদ হল সেই শক্তি, যা আপনার স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে।”
“যে ব্যক্তি জেদের সাথে লড়াই করে, সে কখনো হেরে যায় না।”
“জেদের মাধ্যমে মানুষ তার সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে।”
“সংকল্প এবং জেদ একসাথে মিলিত হলে সাফল্য আসতে বাধ্য।”
“জেদ হল সফলতার প্রথম পদক্ষেপ; এটি আপনার লক্ষ্যকে অর্জন করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি।”
“জেদের সাথে একটি কঠিন উদ্দেশ্য থাকা মানে অসাধারণ কিছু অর্জন করা।”
“জেদ আমাদেরকে পতন থেকে পুনরায় উঠতে শেখায়।”
“যে মানুষ জেদের মাধ্যমে এগিয়ে চলে, তার সাফল্য নিশ্চিত।”
“জেদ ও সংকল্প—দুটি শক্তি যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে।”
“সঠিক দিকনির্দেশনার সাথে জেদ হলে, আপনি যে কোন বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।”
এই উক্তিগুলি জেদের গুরুত্ব এবং তা সঠিকভাবে ব্যবহারের উপর আলোকপাত করে।
উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আমাদের আরো প্রিয় উক্তিগুলো জেনে নিতে পারবো, আমাদের সমাজ বাস্তবতার মধ্য থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে মহান মনীষীদের এ বাণীগুলো আমাদের জীবনে এক প্রদীপ তৈরি করতে সাহায্য করবে ।
সর্বোপরি আমরা একথা বলতে পারি, মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেই সুপ্ত জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য মহান মনীষীদের মহান বাণী গুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোপরি চেষ্টা করে যাব, তাহলে আমাদের জীবনে সময় গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব। এই ‘ জেদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ জীবনকে নতুনভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে ।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ জেদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।