কেবল ৩২ শতাংশ নম্বর। ৬০০-এর মধ্যে পেয়েছে মাত্র ২০০। দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তবুও ছেলের জীবনের প্রথম পরীক্ষার ফলাফলকে ‘ব্যর্থতা’ হিসেবে দেখেননি তার বাবা-মা। বরং সেই দিনটাকেই রাঙিয়ে তুলেছেন ভালোবাসা, আশাবাদ আর উদ্যমে। ছেলের ফেল করার দিনেই কেক কেটে উদযাপন করেছেন তারা—যেন জয় এসেছে জীবনের এক বড় পরীক্ষায়।
ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটকের বাগলকোট জেলার বাসবেশ্বর এলাকায়। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অভিষেক ছোলাছাগুড্ডা এবারের বোর্ড পরীক্ষায় ছয়টি বিষয়ে ফেল করেছে। নম্বর পেয়েছে মোটে ২০০, শতাংশের হিসেবে যা ৩২।
ফলাফল প্রকাশের পর বন্ধুদের কাছ থেকে উপহাস শুনতে হয় অভিষেককে। কিন্তু সেই কঠিন সময়ে তার পাশে ছিলেন বাবা-মা। কোনও রকম বকাবকি নয়, বরং তারা অভিষেককে আশ্বস্ত করেছেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন এবং মনোবল বাড়াতে কেক কেটেছেন।
অভিষেক বলেন, “পাস করতে পারিনি। কিন্তু আমার পরিবার পাশে দাঁড়িয়েছে, উৎসাহ দিয়েছে। আবার পরীক্ষা দেব, পাশ করব এবং জীবনে সফল হব।” বাবা-মায়ের মুখেও ছিল একটিই কথা, “তুমি পরীক্ষায় ফেল করতে পারো, কিন্তু জীবন যুদ্ধে ফেল করোনি। আবার চেষ্টা করো। পরের বার নিশ্চয়ই সফল হবে।”
এই ব্যতিক্রমী উদাহরণ নতুন করে ভাবতে শেখায়—ফেল মানেই শেষ নয়। জীবনের বড় জয়, বারবার চেষ্টা করে হাল না ছাড়ার মাঝেই নিহিত।