খারাপ ভাষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব, আমাদের সফল মনীষী ও মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের উত্থান পতন নিয়েই মহান মনীষীরা আমাদেরকে ‘ খারাপ ভাষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এগুলো জেনে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারি।
খারাপ ভাষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি
পৃথিবীতে সফল ব্যক্তিরা সফল হওয়ার একটিমাত্র কারণ তারা পৃথিবীতে আগে জ্ঞান অর্জন করে আর সেই জ্ঞানগুলো পূর্ণতা দেয় মহান মনীষীরা এখন আমরা জেনে নেব সেই মহান মনীষীদের উক্তিগুলো, জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে থেকে এখন আমরা জেনে নেব মহান মনীষী ও সফল ব্যক্তিরা কি বলেছেন ‘ খারাপ ভাষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ সম্পর্কে।
ইসলামে খারাপ ভাষা ব্যবহার করা কঠোরভাবে নিষেধ। কুরআন এবং হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক উক্তি যা খারাপ ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে:
কুরআন থেকে:
“আর তোমরা ভালো কথা বলো।”
ইসলামিক উক্তি
(সূরা আল-বাকারা, আয়াত ৮৩)
এই আয়াতে আল্লাহ ভালো কথা বলার আদেশ দিয়েছেন এবং খারাপ বা অশোভন ভাষা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
“তোমাদের জিহ্বা ও মুখ দ্বারা যা উচ্চারণ করো তার জন্য নিশ্চয়ই তোমরা দায়বদ্ধ থাকবে।”
(সূরা ক্বাফ, আয়াত ১৮)
এটি মানুষের মুখ দিয়ে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য হিসাব দিতে হবে সেই বার্তা দেয়।
হাদিস থেকে:
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে বা চুপ থাকে।”
(সহীহ বুখারি, হাদিস ৬০১৮)
এই হাদিসে রাসূল (সা.) ভালো কথা বলার বা চুপ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অশ্লীল বা খারাপ ভাষা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
“মুমিন কখনোই গালি দেয় না, অভিশাপ দেয় না, অশ্লীল কথা বলে না এবং খারাপ আচরণ করে না।”
(তিরমিজি, হাদিস ১৯৭৭)
রাসূল (সা.) এর এই হাদিসে মুমিনের জন্য খারাপ ভাষা ও আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে খারাপ ভাষা ব্যবহার করা শুধু একটি মন্দ কাজই নয়, বরং এটি সামাজিক সম্পর্ক এবং মানুষের চরিত্রকে নষ্ট করে। তাই ইসলাম সব সময় উত্তম ও সুন্দর ভাষা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
কুরআন থেকে:
“আর তোমরা ভালো কথা বলো।”
(সূরা আল-বাকারা, আয়াত ৮৩)
আল্লাহ ভালো কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং খারাপ বা অশোভন ভাষা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
“তারা যখন অশ্লীল কিছু শুনে, তখন তা থেকে দূরে থাকে এবং বলে, ‘আমাদের জন্য আমাদের কাজ, আর তোমাদের জন্য তোমাদের কাজ। তোমাদের উপর শান্তি, আমরা অজ্ঞদের সাথে মিশি না।'”
(সূরা আল-কাসাস, আয়াত ৫৫)
খারাপ কথাবার্তা শুনলে ভালো মুমিনদের কিভাবে আচরণ করতে হবে তা এখানে বলা হয়েছে।
“আল্লাহ কোনো অশ্লীল ও খারাপ কথা পছন্দ করেন না, তবে যার প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে সে (নিজের কষ্ট প্রকাশের সময়) তা উচ্চারণ করতে পারে।”
(সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৪৮)
আল্লাহ অশ্লীল কথা পছন্দ করেন না, তবে অত্যাচারিত ব্যক্তি প্রয়োজনে নিজের কষ্ট প্রকাশ করতে পারে।
“তোমাদের মুখ থেকে যা বের হয়, তা ফেরেশতারা লিপিবদ্ধ করে।”
(সূরা ক্বাফ, আয়াত ১৮)
এখানে বলা হয়েছে, মুখ দিয়ে বলা প্রতিটি কথা লিপিবদ্ধ করা হয়, তাই সতর্ক থাকতে হবে।
হাদিস থেকে:
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।”
(সহীহ বুখারি, হাদিস ৬০১৮; সহীহ মুসলিম, হাদিস ৪৭)
রাসূল (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, ভালো কথা বলা বা চুপ থাকা উত্তম।
“মুমিন কখনোই গালি দেয় না, অভিশাপ দেয় না, অশ্লীল কথা বলে না এবং খারাপ আচরণ করে না।”
(তিরমিজি, হাদিস ১৯৭৭)
মুমিনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এই হাদিসে রাসূল (সা.) খারাপ ভাষা ও আচরণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
“মুসলিম হলো সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।”
খারাপ ভাষা নিয়ে উক্তি
(সহীহ বুখারি, হাদিস ১০)
এখানে মুমিনের জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার না করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
“তোমাদের মধ্যে যে ভালো আচরণ করতে চায়, সে যেন তার জিহ্বার হেফাজত করে।”
(তিরমিজি, হাদিস ২৪০৬)
রাসূল (সা.) আমাদের জিহ্বা তথা কথাবার্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
“সবচেয়ে উত্তম মুসলিম সেই, যার আচরণ ভালো এবং যার জিহ্বা ও হাতের দ্বারা অন্যেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।”
(মুয়াত্তা মালিক, হাদিস ১৬)*
এই হাদিসে রাসূল (সা.) উত্তম আচরণের প্রশংসা করেছেন এবং খারাপ কথাবার্তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
“নিশ্চয়ই খারাপ কথাবার্তা ও গালাগালি করা মুনাফিকের লক্ষণ।”
(তিরমিজি, হাদিস ১৯৭১)
রাসূল (সা.) বলেছেন, খারাপ ভাষা ও গালি দেওয়া মুনাফিকের স্বভাব, তাই মুমিনদের তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
ইসলামে খারাপ ভাষা ও অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সুন্দর ও বিনয়ী ভাষা ব্যবহারের জন্যই ইসলাম সর্বদা আহ্বান জানায়।
“ভালো মানুষ তাদের জিহ্বার দ্বারা তাদের চরিত্র প্রকাশ করে। খারাপ ভাষা ব্যবহার করে কখনো শ্রদ্ধা পাওয়া যায় না।”
— অজানা
“যে ভাষা আপনি ব্যবহার করেন, তা আপনার পরিচয়ের প্রতিফলন। খারাপ ভাষা আপনাকে ছোট করে তোলে, অন্যকে নয়।”
— অজানা
“শব্দ একটি অস্ত্রের মতো, ভুলভাবে ব্যবহার করলে এটি শুধু কষ্টই দেয়।”
— অজানা
“আপনি যখন খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন, তখন আপনি নিজের মানকেই নিচে নামিয়ে ফেলেন।”
— অজানা
“যখন ভাষা অশালীন হয়, তখন তা মন ও আত্মার অশালীনতাকে প্রতিফলিত করে।”
— অজানা
“মনের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় ভাষায়। খারাপ ভাষা একটি অন্ধকার মনের প্রতিচ্ছবি।”
— অজানা
“শব্দের শক্তি বিশাল, তাই আমরা যেসব শব্দ উচ্চারণ করি তা বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করা উচিত।”
— অজানা
“একটি সুন্দর মন কখনোই খারাপ ভাষা ব্যবহার করে না।”
— অজানা
“মিষ্টি কথা মানুষকে জয় করে, আর তিক্ত কথা সৃষ্টি করে শত্রু।”
— অজানা
“আপনার কথাগুলোই আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। তাই খারাপ ভাষা দিয়ে নিজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবেন না।”
— অজানা
“ভাষার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতা ও চরিত্র প্রকাশ পায়। খারাপ ভাষা মানুষকে ক্ষুদ্র করে তোলে।”
— অজানা
“খারাপ ভাষা মানুষের আত্মাকে কলুষিত করে এবং সম্পর্ককে বিষাক্ত করে।”
— অজানা
“যে ভাষা দিয়ে তুমি অন্যকে আঘাত করো, সেটি প্রথমে তোমার নিজেরই মানসিক অবনতি ঘটায়।”
— অজানা
“একটি মিষ্টি শব্দ হৃৎপিণ্ডকে প্রশান্তি দেয়, কিন্তু একটি তিক্ত শব্দ সম্পর্ককে ধ্বংস করতে পারে।”
— অজানা
“আপনার কথার মধ্যে যে শক্তি রয়েছে, তা হয় সম্পর্ক গড়ে তোলে অথবা তা ভেঙে দেয়।”
— অজানা
“খারাপ ভাষা আপনার শক্তি নয়, এটি আপনার দুর্বলতা প্রকাশ করে।”
— অজানা
“যার হৃদয় খারাপ, তার জিহ্বা দিয়ে তা প্রকাশ পায়।”
— অজানা
“ভদ্রতা একটি মনের প্রতিফলন, আর খারাপ ভাষা সেই মনের অভাব প্রকাশ করে।”
— অজানা
“আপনার কথার শক্তি আছে, সেগুলোকে সুন্দর এবং গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করুন, ধ্বংসাত্মক নয়।”
— অজানা
“যে ব্যক্তি ভালো কথা বলতে জানে না, সে কখনোই একজন ভালো মানুষ হতে পারে না।”
— অজানা
এই উক্তিগুলো খারাপ ভাষার নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে এবং মানুষকে সুন্দর, শালীন ভাষা ব্যবহারে উৎসাহিত করে।
উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জনপ্রিয় এই উক্তি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আমাদের আরো প্রিয় উক্তিগুলো জেনে নিতে পারবো, আমাদের সমাজ বাস্তবতার মধ্য থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে মহান মনীষীদের এ বাণীগুলো আমাদের জীবনে এক প্রদীপ তৈরি করতে সাহায্য করবে ।
সর্বোপরি আমরা একথা বলতে পারি, মানুষের জ্ঞানের ভান্ডার সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেই সুপ্ত জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য মহান মনীষীদের মহান বাণী গুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোপরি চেষ্টা করে যাব, তাহলে আমাদের জীবনে সময় গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব। এই ‘ খারাপ ভাষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি ‘ জীবনকে নতুনভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে ।
শেষ কথা
মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ একাকী বেঁচে থাকতে পারে না, এজন্য তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, মহান মনীষীদের শরণাপন্ন হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী জীবন গ্রহণ করলে, সঠিক পথে চলা যায়, মহান মনীষীগণ খারাপ ভাষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আমাদের জীবনে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।