উত্তরাধিকার সমরেশ মজুমদারের বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য ‘উত্তরাধিকার সমরেশ মজুমদারের বুক রিভিউ’ বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
উত্তরাধিকার সমরেশ মজুমদারের বুক রিভিউ
জনপ্রিয় বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘উত্তরাধিকার সমরেশ মজুমদারের বুক রিভিউ’ সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এ বুক রিভিউ টা তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুক রিভিউ
অনিমেষের সাথে পরিচয় টা আমার ‘ কালবেলা ‘ দিয়ে। পরিচয়ের শুরুটা একটু উল্টো ভাবে…কিশোর অনিমেষ কে বাদ দিয়েই শুরু করেছিলাম তরুণ অনিমেষ দিয়ে…!
হ্যাঁ , আজকে কিশোর অনিমেষকে নিয়েই বলবো…
আজকে ” উত্তরাধিকার ” নিয়ে বলবো…
উপন্যাসের কাহিনীটা শুরু উত্তর – বঙ্গের একটি চা – বাগানের পটভূমিকায়..জায়গাটার নাম স্বর্গছেড়া। নামের মতোই সুন্দর এবং শান্ত সেই স্বর্গছেড়া যেখানে বেড়ে উঠা অনিমেষের, যেখানে বয়ে চলেছে আঙরাভাসা নদী.. নদীর মতোই শান্ত আমাদের অনিমেষ।
১৯৪৭ এর পনেরই আগস্টে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় প্রথম ” বন্দেমাতরম ” শব্দটি শোনা হয় অনিমেষের ।শব্দটির অর্থ পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও শব্দটি শোনার পর অনিমেষের শরীরে বিদ্যুৎ চমকের মত একটা শিহরণ জেগে যেতো…স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ” ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” গানটি রপ্ত করতে গিয়েও সেই একই শিহরণ জেগে উঠতো কিশোর অনিমেষের শরীরে।স্বাধীনতা দিবসে অনিমেষকে দিয়েই প্রথম উড়ানো হয় স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা।
অনিমেষের দাদু সরিৎশেখর… সে এক দৃঢ় চরিত্র।চা বাগানের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর অনিমেষকে নিয়ে জলপাইগুড়ি চলে আসে। কারন তিনি কোনোভাবেই নিজের কর্মজীবনের জায়গায় অবসর জীবন কাটাতে পারবেন না…সরিৎশেখরের বিদায়ের আবেগঘন মুহূর্তটা যেকোনো পাঠকের বুকে আলোড়ন সৃষ্টি করতে বাধ্য…। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে ভর্তি হয় অনিমেষ..। শুরু হয় পিসী হেমলতা আর দাদুকে নিয়ে অনিমেষের জলপাইগুড়ির জীবন…।

মাঝে অনিমেষের মার মৃত্যু; অনিমেষের বাবার নতুন বিয়ে; নতুন মার সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক সব কিছুই গল্পকে নিজের মতো টেনে নিয়ে যাবে।
স্কুলের শিক্ষক নীতিশ বাবু যাকে অনিমেষ নতুন স্যার বলেই সম্মোধন করে তার কাছে নতুন করে বন্দেমাতরম শব্দটি শোনা, দেশকে মা বলে বুঝতে শেখা,দেশের জন্য কাজ করা,দেশের জন্য প্রাণ দেয়া অনিমেষকে নতুন করে আলোড়িত করে…
বাড়িতে এসে নতুন স্যার কথা যখন ছোট কাকা প্রিয়তোষকে বলে,কাকা শুনে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে – “কংগ্রেসী..!” যারা নাকি ইংরেজদের পা ধরে স্বাধীনতা এনেছে। ছোটো কাকার কাছে নতুন একটি শব্দ শুনলো যেটা কিনা ‘ মার্কসবাদী ‘ যেখানে কোনো ধনী গরীব থাকবে না।যেখানে সবাই সমান। নতুন করে দুটি শব্দ শুনলো – ‘ ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ এবং
‘ এ আযাদী ঝ্যুটা হ্যায় ‘ ।এই দুই ধরনের রাজনীতির টানাপোড়নের মাঝ দিয়েই অনিমেষের স্কুল ফাইনাল এসে যায়… এবং স্কুল ফাইনাল এ ফার্স্ট ডিবিসনে পাস করে।
এরপর সদ্য তরুণ অনিমেষ পারি জমায় স্বপ্নের কলকাতায় কলেজ জীবন শুরু করতে…।কিন্তু যেদিন সে কলকাতায় প্রথম পা দিলো – সেদিন সারা শহরে আগুন জ্বলছে , চলছে আন্দোলনের ভয়ঙ্কর পরিবেশ।নিজের অজান্তেই ঢুকে পড়ে এক গভীর রাজনীতিতে।
এভাবেই ‘ উত্তরাধিকার ‘ উপন্যাসের সমাপ্তি….।
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো ‘উত্তরাধিকার সমরেশ মজুমদারের বুক রিভিউ’ বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।