ইন্দুবালা ভাতের হোটেল কল্লোল লাহিড়ী বুক রিভিউ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো, এ মহান লেখকের বইটি জীবন বাস্তবতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য ‘ ইন্দুবালা ভাতের হোটেল কল্লোল লাহিড়ী বুক রিভিউ ‘ বইটি পড়ে আমাদের পারিবারিক সামাজিক জীবন রীতির জন্য যে উপদেশ নামা দেওয়া আছে সেগুলো জেনে আমাদের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সহজ হবে।
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল কল্লোল লাহিড়ী বুক রিভিউ
জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা টিভি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘ ইন্দুবালা ভাতের হোটেল বুক রিভিউ ‘ সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,পাঠকের বুক রিভিউটি, এবং লেখককের দূরদর্শী সম্পূর্ণ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বুক রিভিউটি তে তথ্যবহুল আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কল্লোল লাহিড়ী বুক রিভিউ
আট অধ্যায় বিশিষ্ট বইটির কাহিনি আবর্তিত হয় খুলনার কলাপোতা গ্রামের মেয়ে ইন্দুবালাকে ঘিরে। দেশ স্বাধীনেরও আগে যার বিয়ে হয় কলকাতায় এক বিপত্নীক মাতাল পুরুষের সাথে। মাতাল স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে ইন্দুবালা যখন দিশেহারা ঠিক তখনি বিহারী মাছওয়ালী লছমীর অনুপ্রেরণায় ইন্দুবালা শুরু করেন ভাতের হোটেলের ব্যাবসা। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নি ইন্দুবালাকে। এরই মধ্যে ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবুও থেমে যায়নি ইন্দুবালা ভাতের হোটলের হেঁশের। সওর পেরোনো ইন্দুবালাও কখনও কোন ধরনের সাহায্যের জন্য দারস্থ হননি ছেলেমেয়েদের কাছে।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল বুক রিভিউ
বইয়ের আটটি অধ্যায়ের নামকরণও করা হয়েছে আট পদের খাবারের উপর। যেমন প্রথম অধ্যায়ের নাম ‘কুমড়ো ফুলের বড়া’, দ্বিতীয় অধ্যায় ‘বিউলির ডাল’ এভাবেই একের পর এক অধ্যায় এগিয়ে গেছে। তবে এটা শুধু নিছকই নামকরণ নই। প্রতিটি খাবারের নামের সাথে সাথেই এগিয়েছে সেই খাবারের সাথে ইন্দুবালার স্মৃতি তথা তার জীবন কাহিনি।
ইন্দুবালার জীবনে কাহিনি বইটিতে উটে এসেছে বর্তমান এবং অতীতের মিশেলে। বিয়ের পর কলকাতায় চলে আসার পর আর খুলনায় আসা হয় নি তার। বাবার মৃত্যুর সময়ও যেতে পারেনি। এদিকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধের সময় মিলিটারিরা মেরে ফেলে তার মা এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় পুরো কলাপোতা গ্রামকে। এরপরে আর কখনো স্বাধীন বাংলাদেশে আসার আগ্রহ বোধ করেননি ইন্দুবালা।
জীবনের সিংহভাগ সময় কলকাতাতে কাটালেও ইন্দুবালা ভাতের হোটেল চালু হওয়ার পর থেকেই সেখানের হেঁশেলে সেই খুলনার কলাপোতা গ্রামের ছোঁয়া ছিল। কৈশোরে ঠাম্মির কাছ থেকে শেখা রান্নাগুলোই ঘুরে ফিরে কলকাতার উনুনে নতুন প্রান পায়। লেখক বেশ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন খাবারগুলোর বর্ণনায়। কুমড়ো ফুলের মিঠে বড়া পোস্ত ছড়িয়ে, রান্নার ঝালের জন্য চুইঝালের ব্যাবহার, কালো জিরের ফোড়নে পার্শে মাছের ঝোল, ইলিশের মাথা ও পুইশাকের ছ্যাঁচড়া, সর ভাজা, কাসুন্দি দিয়ে কলমিশাক, কচু বাটা, চিংড়ির হলুদ গালা ঝোল, মালপোয়ার মত খাবারের বর্ণনা এত সুনিপুণ ভাবে করেছেন যে বইটি পড়তে পড়তেই খিদে লেগে যেতে বাধ্য।
( কৃতজ্ঞ = বুক রিভিউ,’রিভিউয়ারঃ ইয়াছানুর ইসলাম অপূর্ব ,বই: ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ,লেখক : কল্লোল লাহিড়ী )
শেষ কথা
মানুষের জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে, এই উত্থান পতন চরিত্রগুলো ‘ ইন্দুবালা ভাতের হোটেল বুক রিভিউ ‘ বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সুখ দুঃখ হাসি কান্নার জীবনবোধগুলো লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছে, পাঠক তার নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এই বইয়ের উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।